প্রকাশিত: Wed, May 17, 2023 4:41 PM
আপডেট: Sun, May 11, 2025 5:36 PM

একান্ন বছরে কূটনীতিকদের প্রটোকল প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটেনি: ড. মোশাররফ

 শহীদুল ইসলাম: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন বুধবার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। বিজনেস স্টান্ডার্ড, সময় নিউজ

মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় আরেক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। পদযাত্রাটি উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে শুরু করে রামপুরার আবুল হোটেল পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।  

প্রধান অতিথির বক্তব্য ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার বিদেশিদের কাছে ধর্র্ণা দিয়ে কোন লাভ পায়নি। আপনারা সজাগ থাকুন। কোনো ষড়যন্ত্র বা ফাঁদে পা দিবেন না। সরকারকে হটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে ইনশাআল্লাহ।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, একটাই দফা- এই সরকারকে হটাতে হবে। কোন স্বৈরাচার এমনি এমনি যায় না। তাকে হটাতে হয়। তাই এ সরকারকে হটাতে গণঅভ্যুত্থানের কোন বিকল্প নেই। এজন্য আপনারা প্রস্তুতি নিন। 

অন্যদিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস 

বলেন, সরকার আবারও একতরফাভাবে ক্ষমতায় থাকতে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে। সময় টিভি 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এসময় কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলো। পদযাত্রা কর্মসূচি বাসাবো খেলার মাঠ থেকে মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টার পর্যন্ত পালন করা হয়। 

আমান উল্লাহ আমান বলেন, আমরা সরকারকে বার্তা দিতে চাই, জনগণের চোখের ভাষা বুঝুন। আগের মতো আর ভোট হতে দিবো না। আগামী নির্বাচন কোনোভাবেই এই সরকারের অধীনে হবে না। সময় টিভি

তিনি বলেন, আমাদের কাছে জেলখানা এখন পান্তা ভাত। আমরা আর ভয় করিনা। এসময় তিনি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে দেওয়ার জন্যেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।

এর আগে, সমাবেশ শেষে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পদযাত্রা শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। এ পদযাত্রা উত্তর বাড্ডার সুবাস্ত টাওয়ারের সামনে থেকে শুরু করে রামপুরা হয়ে মালিবাগ আবুল হোটেল মোড়ে এসে শেষ হয়। সম্পাদনা: শামসুল বসুনিয়া